বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় গতকাল ভোর থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকালে স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রীদের ঘন কুয়াশায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অপর দিকে, প্রভাব পড়ছে এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদেরও শীতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। গাইবান্ধার জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্র গুলোতেও বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
গতকাল ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গাইবান্ধার জনপদ। সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি। দিনের বেলাও রাস্তায় মোটরসাইকেল, অটো, বাস, ট্রাক গুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। রাস্তার পাশে খড়কুটো ও টায়ার জ্বালিয়ে, চায়ের দোকানের চুলার আগুনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এছাড়া আঙ্গিনা এবং বাড়ির উঠানে বৃদ্ধ-যুবকসহ সব বয়সের মানুষেরাও খড় পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
গাইবান্ধার চার উপজেলার ছোট বড় ১৬৫টি চরে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। শীতে সেখানকার নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ অবস্থায় গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষগুলোর কষ্টের সীমা থাকে না। শীত নিবারণের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের কাছে গরম কাপড় ও কম্বলের জন্য আকুতি জানিয়েছেন এখানকার মানুষজন।
ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আফসার আলী জানান, শীতের এই সময়ে এখানকার মানুষের ব্যাপক কষ্ট হয়। দিনের বেলা সময়টা কোনভাবে পার করলেও রাতে ঠান্ডা বাতাস ও হিমেল হাওয়ায় অনেকের ঘুম হয় না।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর হরিণ সিংহা গ্রামের ইজিবাইক চালক তৌহিদ মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও ইজিবাইক নিয়ে বের হতে হচ্ছে। ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে ঠান্ডার মধ্যেও বের হলাম।
একই গ্রামের নয়ন তারা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ কাজ না করলে পেট চলে না। নিজে খাব নাকি কাপড় চোপড় কিনব। নিজের কাপড় না থাকলেও ছেলে-মেয়েদের কাপড়তো কিনে দেওয়া দরকার। কিন্তু হাতে কোনো টাকা নেই।